কল্যাণপুরী হুজুর কেবলা জানের আহবানে লাখো লাখো জনতার ঢল ধর্ম-ভীরু মুসলমান ভক্ত আশেকান ও মুরিদ সন্তানদের নিয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরম পবিত্র শবেবরাতের অনুষ্ঠান পালন করল দরবারে চরদিয়া। ২৯ শে মার্চ ২০২১ সোমবার দিবাগত রাত্রী কালেমার পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার জাকেরগন সেখানে উপস্থিত হন। অনুষ্ঠানে সারারাত নামাজ, জিকির, কুরআন হাদিসের উপর আলোচনা মিলাদ ও দরুদ পাঠ এবং ৩০ শে মার্চ সকালে আখেরী মোনাজাত ও হুজুর পাক তাহার শাহাদাত আঙ্গুলি মোবারকের স্পর্শে সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষের মুর্দাদেল জিন্দা করেন। জামানার মোজাদ্দেদ কল্যাণপুরী হুজুর কেবলা জানের শাহাদাৎ আঙুল মোবারক দ্বারা সত্য তরিকা গ্রহণের মাধ্যমে লতিফায় কালবে জিকির জারির নেয়ামত প্রাপ্ত হয় ।বায়াত গ্রহনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান সম্পূর্ন হয়। শবে বরাত বা ভাগ্য রজনী কে স্বীয় আল্লাহ পাক কোরআন শরীফে সূরা আদ দুখান (৩,৪) আয়াতে বরকত পূর্ণ রাত হিসেবে উল্লেখ করে মহান আল্লাহ পাক বলেন ” নিশ্চয় আমি উহা (কোরান শরিফ) এক বরকতপূর্ণ রাত্রিতে নাযিল করেছি অর্থাৎ নাযিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিশ্চয় আমি সতর্ককারী ওই রাত থেকে সমস্ত হিকমত পূর্ণ কাজসমূহের বন্টন করা হয় তথা বন্টনের ফয়সালা করা হয়।এই রাত্রিতে ভাগ্য অনুলিপি করা হয়। পরবর্তী বছরের জন্য হায়াত, মউত ও রিজিক অনুলিপি করা হয়।” রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আরও এরশাদ করেন “শাবান মাসের মধ্যবর্তী রাতে মহান আল্লাহর রহমতের ভান্ডার নিয়ে তার সকল সৃষ্টির প্রতি এক বিশেষ ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এবং এ রাতে হিংসুক ও হত্যাকারী ব্যাক্তি ছাড়া সকলকে ক্ষমা করে দেয়া হয়।” উক্ত অনুষ্ঠান শেষে ধর্মপ্রান মুসলমান ও জাকেরবৃন্দ চরদিয়া পাক দরবার শরীফএর পীর সাহেব হুজুর কেবলাজান এর সাথে বিদায় গ্রহন করেন ।