দৌলতপুরে চোর ও ছিনতাই চক্রের সদস্যরা থাকছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে

প্রশাসনিক সুবিধা নিতে নিজেকে মেলে ধরছে বিএনপি নেতা হিসাবে 

দৌলতপুর প্রতিনিধি।। সারাদেশব্যাপী চলমান চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনার অংশ হিসেবে দৌলতপুরেও দিনে দুপুরে ঘটছে চুরি ছিনতাইয়ের মত ঘটনা। এই উপজেলাতে প্রতিদিনই চোর ও ছিনতাই চক্রের  সদস্যরা সাধারণ জনগনের নানা ধরনের মূল্যবান সম্পদ চুরি ও ছিনতাই করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বীর দর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এবং সকল প্রকার বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পেতে ঢাল হিসেবে নিজেকে বড় বিএনপি নেতা হিসাবে  জাহির করছে।তেমনি ঘটনা ঘটেছে উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নে মাদিয়া গ্রামে। 

তথ্যসূত্রে জানা যায়, উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের  দিঘলকান্দি গ্রামের মৃত আবুল হোসেন মন্ডল এর ছোট ছেলে রাকিব আলী গত ১৫ মার্চ ২০২৫ তারিখ বেলা ১২ টার দিকে মাদিয়া গ্রামে মৃত মায়ের রেকর্ডিও সম্প্রতি ওয়ারিশ সূত্র  প্রাপ্ত হইয়া জৈনক মকবুল হোসেনের বাড়ির পাশে বড় বট গাছের নিচে রাকিব আলীর ব্যবহৃত ব্লু কালারের টিভিএস মেট্রো প্লাস মোটরসাইকেল রেখে জমি পরিমাপ করতে মাঠে গেলে রাকিব আলীর অনুপস্থিতিতে মাদিয়া এলাকার চিহ্নিত চোর ও ছিনতাই চক্রের সদস্য জোগনুর জামান সুইট, নবীর চোর, আলম চোর, ও নবীর চোরের দুই ভাসতে এক ছেলে সহ অজ্ঞাত আট-দশ জন মিলে বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র হাতে নিয়ে ছিনতাই এর উদ্দেশ্যে গাড়ির কাছে দাড়িয়ে থাকা ভুক্তভোগী রাকিব আলীর চাচাতো ভাইয়ের উপর হামলা করে রক্তাক্ত জখম করে এমন অবস্থায় রাকিব আলীর চাচাতো ভাইয়ের চিৎকারে রাকিব আলী এগিয়ে আসলে, চোর চক্রের সদস্যদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাকিব আলীর পকেটে থাকা ৪৫ হাজার টাকা, ও রাকিব আলীর চাচাতো ভাইয়ের স্কিন টাচ মোবাইল ছিনতাই করে নেয়।পরবর্তীতে রাকিব আলীর ব্যবহৃত ব্লু কালারের টিভিএস মেট্রো প্লাস মোটরসাইকেলটির চাবি সুইটের নির্দেশনা চোর ও ছিনতাইকারী চক্রের অন্যতম সদস্য নবীর চোর সহ অন্যান্য সদস্যরা নিয়ে নিতে চাইলে রাকিব আলী সেখান থেকে পুলিশ বলে  চিৎকার দিয়ে কৌশলে সরে যাই। 

এরপরে চোর ও ছিনতাইকারী চক্রের ঐ এলাকার নেতা আবু বক্কর কারী সরকারের ছেলে  সুইট সরকার, মোটরসাইকেলটির চাবি না পেয়ে ঘাড় লক ভেঙ্গে মোটরসাইকেল টি ছিনতাই করে নিয়ে চলে যায়। এঘটনায় রাকিব আলী বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় হত্যা চেষ্টা ও ছিনতাই এর বিবরণ দিয়ে একটি লিখিত এজাহার জমা দিয়েছে। 

উল্লেখ্য দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে যে হারে চুরি ও ছিনতাই বেড়ে গেছে তার অধিকাংশ চুরি ও ছিনতাই এই চক্রটি করছে বলে জানিয়েছেন এলাকার একাধিক ব্যাক্তি।তাছাড়াও উল্লেখ থাকে যে ঐ এলাকার চোর ও ছিনতাইকারী চক্রের অন্যতম সদস্য নবীর চোর এর আগেও একাধিক চুরি ও ছিনতাই মামলার আসামী হয়ে জেল খেটেছে।

এবং আর একজন চোর ও ছিনতাইকারী চক্রের ঐ এলাকার সেকেন্ডইন্ড কমান্ড  এলাকায় তাকে অনেকেই আলম খবিশ বা আলম চোর হিসেবে চেনে। আলম চোর দীর্ঘদিন জাসদ গন বাহিনীর সাথে থেকে নানা ধরনের অপকর্ম করে ৫ তারিখ পরবর্তী সময়ে নিজেকে এলাকায় বিএনপির বড় নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে অন্যান্য চোর ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের সাথে নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে চুরি ও ছিনতাই এর মত ঘটনা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, এই চোর ও ছিনতাইকারী সিন্ডিকেটের কাছে পিয়ারপুর ইউনিয়নের মাদিয়া গ্রামের লোকজন বড় অসহায় তাদেরকে কেউ কিছু বলতে গেলেই প্রতিবাদকারীদের উপরে নেমে আসে অসহনীয় নির্যাতন। তাই এলাকাবাসীর দাবি সঠিক  আইন প্রয়োগের  মাধ্যমে এই ধরনের চোর ও ছিনতাইকারী দের কঠোর শাস্তি প্রদান করা হোক।