শনিবার | ১২ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



সত্যের পথে অবিচল | ২৪ ঘণ্টা বাংলা সংবাদ

দৌলতপুর আওয়ামী লীগের বর্তমান রাজনীতি

দৌলতপুর প্রতিনিধি

দৌলতপুর আওয়ামী লীগের বর্তমান রাজনীতি

দৌলতপুর আওয়ামী লীগের বর্তমান রাজনীতি


গত ২১ ফেব্রয়ারী প্রথম প্রহর থেকে কুষ্টিয়ার বৃহৎ উপজেলা দৌলতপুরের রাজনৈতিক হাওয়া কিছুটা উষ্ণতা ছড়াচ্ছে। যা আওয়ামী লীগের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের জন্য অশনিসংকেত। ভেবেছিলাম এই ব্যপারে কিছু লিখবো না, ইচ্ছাও করছিল না। তবে গণমাধ্যম কর্মী ও রাজনীতি সচেতন ব্যক্তি হিসেবে না লিখে পারছি না।

গত ২১ তারিখ প্রথম প্রহরে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে যে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে তার জন্য দায়ী উপজেলা প্রশাসন ও মাইকম্যান। খুব সূক্ষ বুদ্ধিতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি বাঁধানোর পরিকল্পনা ছিল। কারন জাতীয় দিবসে মারামারি বা হানাহানী হলে বর্তমান এমপি সরওয়ার জাহান বাদশাহ ও সাবেক এমপি রেজাউল হক চৌধুরী’র রাজনৈতিক জীবনের অবসান ঘটতো। আর ঝুঁকিতে পড়ে যেতো উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ মামুনের রাজনৈতিক জীবন। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের ১/২ জন নেতা ও বিএনপির সুবিধা হতো।

তাই আপনারা একটু চিন্তা করে দেখলেই বুঝে যাবেন মাইকম্যানের সেই দিনের ভূমিকা সন্দেহের উর্ধে না।


উপজেলা প্রশাসনের উচিত ছিল দুই গ্রুপের সাথে সমন্বয় করে ফুল দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করা, আর মাইকম্যান যেহেতু জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে বিশ্বাসী তাই তাকে সরিয়ে প্রশাসনের কাউকে সঞ্চালনার দায়িত্ব দেওয়া। তাহলে হট্রোগোল কোনো ভাবেই হতো না। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী’র দূরদর্শিতা সম্পন্ন বক্তব্যে পরিস্থিতি আর ঘোলাটে হয়নি।

তেমনি দৌলতপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবুর রহমানের হস্তক্ষেপ ও উপস্থিত বুদ্ধির কারনে বড় কোনো ঝামেলা হয়নি বরং সব নেতা ও জনপ্রতিনিধি সম্মান নিয়ে উপজেলা পরিষদ ত্যাগ করতে পেরেছেন। তাই তাদের সাধুবাদ জানাতে হয় আর যে সব কর্মী তার নেতাকে পাহারা না দিয়ে পলায়ন করেছে তাদের প্রতি ঘৃণা।


আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দোয়া ও আলোচনা সভায় যে ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন একজন সাংগঠনিক সম্পাদক তা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত ও উস্কানিমূলক। যে নেতাকর্মীকে টোকাই সম্মোধন করে সে আদর্শহীন নেতা ছাড়া কিছু নয়। তার জনপ্রতিনিধি হওয়ার আশায় গুড়েবালি হয়ে গেল। তবে তার এই বক্তব্যের কারণে যারা ব্যক্তি আক্রমণ, চরিত্র হনন ও পরিবারের সদস্যদের সম্মান নিয়ে টানাটানি করছেন তারা কোনো ভাবেই সঠিক করছেন না। কারন এগুলো অপরাজনীতির আংশ যা শুধুই বিভেদ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। এগুলো দ্রুত বন্ধ হওয়া অতিব জরুরী।

পরিশেষে আমার ভাবনায় আসে আগামী জাতীয় নির্বাচনে দৌলতপুর তথা কুষ্টিয়া-১ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে হলে সকল ভেদাভেদ ও গ্রুপিং ভুলে এক হয়ে কাজ করতে হবে।

প্রত্যাশা রাখি মাননীয় সংসদ সদস্য সরওয়ার জাহান বাদশাহ , সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী , উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভকেট শরিফ উদ্দিন রিমন , উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ মামুনকে এক মঞ্চে দেখার।

লেখকঃ আব্দুল্লাহ বিন জোহানী তুহিন, সাধারণ সম্পাদক, দৌলতপুর রিপোর্টার্স ক্লাব, কুষ্টিয়া।

Facebook Comments Box

Posted ৬:১০ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

protidinerkushtia.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় :

কুষ্টিয়া চোরহাস মোড়, কুষ্টিয়া
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৬৩-৮৪৩৫৮৮
ই-মেইল: protidinarkushtia@gmail.com

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদনকৃত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
error: Content is protected !!