শনিবার | ১২ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



সত্যের পথে অবিচল | ২৪ ঘণ্টা বাংলা সংবাদ

দৌলতপুরে পরোকিয়া ও স্বামী হত্যা মামলায় নূরুজ্জামান বিশ্বাস কলেজের শিক্ষিকা তাপু কারাগারে।

দৌলতপুরে পরোকিয়া ও স্বামী হত্যা মামলায় নূরুজ্জামান বিশ্বাস কলেজের শিক্ষিকা তাপু কারাগারে।

 


কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে স্বামী হত্যার মামলায় আল্লারদর্গা নূরুজ্জামান বিশ্বাস কলেজের শিক্ষিকা তাপু কারাগারে। আদালতের মামলা ও পিবিআই তদন্ত রিপোর্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আল্লারদর্গা নূরুজ্জামান বিশ্বাস কলেজের ভ‚গোল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জহুরুল ইসলাম আল্লারদর্গা বাজারের পাশর্^বর্র্র্র্র্তী হাইস্কুল সংলগ্ন চামনাই এলাকায় ৬শতক জমি ক্রয় করে একতলা বিশিষ্ট বাড়ি নির্মান করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করতো। দীর্ঘদিন যাবৎ তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন তাপু পূর্বে থেকেই তার আপন ছোট বোনের স্বামী মথুরাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মঞ্জুর কাদির লাবু মাষ্টার সহ একাধিক ব্যাক্তির সাথে পরোকিয়ায় লিপ্ত ছিল। কলেজ শিক্ষক জহুরুল ইসলামের সন্দেহের সৃষ্টি হলে সে তার স্ত্রী তাপুকে উপজেলার মথুরাপুর গ্রামে তার বাপের বাড়ি যাওয়া থেকে বিরত রাখে এবং নিজ বাড়িতে সিসি ক্যামেরা লাগায়। আর এই সিসি ক্যামেরাই তার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়ায়। এমনি একদিন কলেজ শিক্ষক জহুরুল ইসলাম তার স্ত্রী তাপুকে তার আপন ছোট বোনের স্বামী লাবু মাষ্টারের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে। কিন্তু ২টি সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে মান সম্মানের কথা চিন্তা করে স্ত্রী তাপুকে ডিভোর্স করা থেকে বিরত থাকে। এছাড়াও কোন একদিন তার নিজ বাড়িতে কর্মরত এক রাজ মিস্ত্রির সাথে আপত্বিকর অবস্থায় দেখে ফেলে।তার স্ত্রী তাপু তখন ছেলে মেয়ে নিয়ে উপজেলার মথুরাপুর গ্রামে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। দীর্ঘদিন বাবার বাড়িতে থাকাকালীর সময়ে তাপু তার ভাই পলাশ সরদার, রকেট সরদার আপন বোনের স্বামী তার পরোকিয়া প্রেমিক ভগ্নিপতি লাবু মাষ্টার ও তার অন্যান্য বোনদের কুপরামর্শে তার স্বামী জহুরুল ইসলামকে বাড়ীর জমি রেজিষ্ট্রি করে দিতে চাপ সৃষ্টি করে এবং জমি রেজিস্ট্রি করে না দিলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তাপুর পরিবারের সদস্যদের উপর্যুপরি চাপ ও হত্যার হুমকিতে এবং কলেজ শিক্ষক জহুরুলের প্রতি মানষিক ও শারিরীক চাপ সৃষ্টি করে তাকে আত্বহত্যা করতে বাধ্য করায়। এক পর্যায়ে ২০২১ সালের ৮ আগষ্ট এই নস্টা মহিলা তাপু ও তার কুলাংকার ছেলে আরিফ শাহরিয়ার শাওন কলেজ শিক্ষক জহুরুলকে মারপিট করে । কলেজ শিক্ষক জহুরুলকে শারিরীক ও মানসিকভাবে আঘাতের পর আঘাত করে তাকে আত্বহত্যায় করতে বাধ্য করে। গত ৯ আগষ্ট/২০১১ সালে কলেজ শিক্ষক জহুরুল আত্বহত্যার পূেের্ব একটি সুইসাইড নোট লিখে যান। যাতে পরিস্কার করে লেখা আছে” বউয়ের দ্বারা এতা অপমান সহ্য করে তার মত মহিলার সাথে সংসার করা সম্ভব হলো না। তাপুর স্বামীর দরকার নাই, সে চায় বাড়ী। আমি তাদেও সবকিছু দিলাম শেষ পর্যন্ত আমার জীবনটাও দিলাম। স্বামীর প্রতি নুন্যতম শ্রদ্ধাবোধ না থাকলে তার সাথে কিসের সংসার। আমার মৃত্যুর জন্য তাপু এবং তার পরিবার দায়ী:। এ ঘটনায় পরবর্তীতে মৃত কলেজ শিক্ষক জহুরুল ইসলামের ছোটভাই দৌলতপুর কলেজের শিক্ষক, জাতীয় দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক ও দৌলতপুর প্রেসক্লাবের সহসভাপতি আহাদ আলী নয়ন বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলা করতে গেলে তৎকালীর দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ থানায় মামলা নেয়নী। উল্টো আদালতে মামলা করতে বলেন। পরবর্তীতে মৃত জহুরুল ইসলামের ছোট ভাই আহাদ আলী নয়ন বাদী হয়ে কুষ্টিয়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে গত ১৬/০৯/২০২১ তারিখে একটি মামলা দায়ের করেন। এবং মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। কুষ্টিয়া পিবিআই এর এসআই রফিকুল ইসলাম রফিক দীর্ঘ প্রায় ৫ মাস তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদালতের কাছে ৭১ পৃষ্টার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদনে আসামী সাবিনা ইয়াসমিন তাপুর আপন ছোটবোন পারভীন আক্তারের স্বামী মথুরাপুর হাইস্কুলের শিক্ষক মঞ্জুর কাদির লাবু মাষ্টারের সহিত পরোকিয়া সম্পর্কের সত্যতা পান এবং কলেজ শিক্ষক জহুরুল ইসলামের মৃত্যুর জন্য দোষী সাব্যস্ত হন। এরপর স্বামী হত্যাকারী আসামী সাবিনা ইয়াসমিন তাপু গতকাল ২৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত-২ দৌলতপুর কোর্টে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ আলাদত স্বামী হত্যার প্ররোচনার মামলায় তার জামিন মঞ্জুর না করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 

Facebook Comments Box


Posted ৪:৩২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২

protidinerkushtia.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় :

কুষ্টিয়া চোরহাস মোড়, কুষ্টিয়া
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৬৩-৮৪৩৫৮৮
ই-মেইল: protidinarkushtia@gmail.com

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদনকৃত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
error: Content is protected !!