কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার ইউপি নির্বাচনে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় আওয়ামী লীগের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদ সম্মেলনে এ ঘােষণা দেওয়া হয়। বহিষ্কৃত নেতা হলেন উপজেলার ১০ নং দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মােঃ জহুরুল আলম। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, চলমান ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে যাঁরা বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন, তাদের দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই নেতাকে স্ব-স্ব কমিটি থেকে অব্যাহতি এবং দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই বহিষ্কারাদেশ চূড়ান্ত অনুমােদনের জন্য কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠানাে হয়েছে। সূত্র মতে জানা যায়, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর বড় ভাই জাহিদুল ইসলাম ১৯৮৬ সালে ফ্রিডম পার্টি থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করেছিলেন। ১৯৯১ সালে জাকের পার্টি থেকে গােলাপ ফুল মার্কায় সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করেছিলেন।
এছাড়াও দৌলতপুর ১ আসনের স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য আফাজ উদ্দিনের বাড়িতে বােমা হামলা করেন, এই বােমা হামলায় তিন জনের প্রাণহানি ঘটে। এই মামলার প্রধান আসামী জহুরুল আলমের বড় ভাই জাহিদুল ইসলাম। জাহিদুল ইসলাম, জহুরুল আলম ও তাদের পিতা সহ জাতীয় পার্টি করতেন। জাতীয় পার্টি করার পর থেকে ভােল পাল্টে আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবকলীগে যােগদান করেন জহুরুল আলম। এর পরে তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগে যােগদান করেন। গত ইউপি নির্বাচনে ঘােড়া মার্কা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন।
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এলাকাবাসীরা মনে করেন বিরােধী দল থেকে আসা কোন ব্যক্তি আওয়ামীলীগের কর্মী বা নেতা হতে পারেন না। এইসব সুযােগ সন্ধানী লােকজন যেই দলেই যােগ দিক না কেন, সুযােগ পেলেই ছােবল মারবে। দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি থেকে বহিষ্কার হওয়া জহুরুল আলাম বলেন আমি প্রার্থী হওয়ায় নিয়মবহির্ভূতভাবে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তা ছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের এখতিয়ার নেই আমাকে বহিষ্কার কারার।
Posted ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর ২০২১
protidinerkushtia.com | editor