অনলাইন নিউজ ডেস্ক
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার প্রেস সচিব মুফতি মুনির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ১ ডিসেম্বর শ্বাসকষ্টজনিত কারণে অসুস্থতাবোধ করলে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
মৃত্যুর আগে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব, বেফাকের সহসভাপতি ও আল-হাইয়া বোর্ডেরও কো-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
আল্লামা কাসেমী ১৯৪৫ সালের ১০ জানুয়ারি কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার চড্ডা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন- মামুনুলের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ
বর্ণাঢ্য শিক্ষাজীবনে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে পড়ার উদ্দেশ্যে ভারতে যান। পরে নির্ধারিত সময়ে পৌঁছাতে না পেরে ভর্তি হন ভারতের সাহারানপুর জেলার বেড়ীতাজপুর মাদ্রাসায়। সেখানে জামাতে জালালাইন (স্নাতক) সমাপ্তির পর দারুল উলুম দেওবন্দে চলে যান। দেওবন্দ মাদ্রাসায় তার অধ্যয়নকাল মোট ৩ বছর। সেখানে দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স) সমাপ্তির পর আরবি সাহিত্য ও দর্শনে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন তিনি।
১৯৮৮ সালে তিনি জামিয়া মাদানিয়া এবং ১৯৯৮ সালে জামিয়া সোবহানিয়া মাহমুদ নগর প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠানের শায়খুল হাদীস ও মহাপরিচালক ছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি প্রায় ৪৫টি মাদ্রাসা পরিচালনার কাজে যুক্ত ছিলেন। এছাড়াও ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি খতমে নবুয়ত আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন
Posted ৯:৪০ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০
protidinerkushtia.com | Md Golam Kibria (Jibon)